ডার্ক-ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি: আইনস্টাইনের মহাবিশ্ব

মহাবিশ্ব কি দিয়ে তৈরি? প্রশ্নটি হাজার বছরের পুরোনো। আধুনিক মহাকাশবিদ্যার কল্যাণে আজ আমরা উত্তরটা নিশ্চিতভাবে জানি। উত্তরটা এক লাইনে দেয়া যায় এভাবে, ৫% সাধারণ-পদার্থ ২৫% ডার্ক-ম্যাটার ৭০% ডার্ক এনার্জি ডার্ক-ম্যাটার এবং ডার্ক-এনার্জি দুটি সম্পূর্ন ভিন্ন জিনিস। এদের নামের ডার্ক বা অন্ধকার শব্দটি অত্যন্ত বিভ্রান্তমূলক। যদিও ডার্ক-ম্যাটার এবং ডার্ক-এনার্জিকে এখনো কোনো গাণিতিক মডেলের ঢোকানো সম্ভব হয়নি।… বিস্তারিত পড়ুন ডার্ক-ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি: আইনস্টাইনের মহাবিশ্ব

মরণব্যাধি ক্যান্সার: টিউমার

ক্যান্সার কোষের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো স্বাভাবিক কোষের চেয়ে ভিন্ন। কোনো বাধা ছাড়াই ক্যান্সার কোষ বাড়তে থাকে: দেহের প্রতিটি কোষের DNA হুবুহু এক। পার্থক্য শুধু প্রোটিন সংশ্লেষণে, যেমন: চুল যেখানে তন্তুর মতো কেরোটিন (Keratin) প্রোটিন তৈরি করে, সেখানে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী পেশীতন্তু তৈরি করে।   এই নিয়ন্ত্রণের কারণে আমরা কখনো হৃৎপিণ্ডে চুল গজাতে দেখিনা। এই… বিস্তারিত পড়ুন মরণব্যাধি ক্যান্সার: টিউমার

মরণব্যাধি ক্যান্সার: কারণ এবং কার্সিনোজেনেসিস

CML থেকে একটা ব্যাপার স্পষ্ট, ক্যান্সারের শুরু কোষের জেনেটিক উপাদান (DNA) পরিবর্তন দিয়ে। আধুনিক ধারণার ওপর ভিত্তি করে ক্যান্সারের সবচেয়ে সফল তত্ত্বটির নাম মাল্টিস্টেপ-কার্সিনোজেনেসিস। মাল্টিস্টেপ- কার্সিনোজেনেসিসের মূল কথা হলো; বিভিন্ন ভৌত এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কোষের জেনেটিক উপাদানের পরিবর্তন হয়। সময়ের সাথে সাথে এই পরিবর্তনগুলো পুঞ্জীভূত হতে থেকে। এইজন্যই ক্যান্সারকে প্রবীণ মানুষের রোগ বলা হয়। পুঞ্জীভূত… বিস্তারিত পড়ুন মরণব্যাধি ক্যান্সার: কারণ এবং কার্সিনোজেনেসিস

মরণব্যাধি ক্যান্সার: চিকিৎসা

ক্যান্সারের প্রচলিত চিকিৎসাগুলো হলো: শল্যচিকিৎসা বা সার্জারি, বিকিরণ থেরাপি, এবং রাসায়নিক থেরাপি বা কেমোথেরাপি। যে চিকিৎসাগুলো এখনো উন্নয়ন কিংবা নিরীক্ষাধীন পর্যায়ে আছে সেগুলো হলো: ইমিউনো থেরাপি, এবং জিন থেরাপি। ক্যান্সার চিকিৎসায় একাধিক ব্যবস্থা পরিপূরক হিসেবে প্রয়োগ করা হয়, এদের বলে অ্যাডজ্যাভ্যান্ট থেরাপি (Adjuvant therapy)। যেমন: শল্যচিকিৎসা পরপর যদি কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয়, তবে কোমোথেরাপি হলো… বিস্তারিত পড়ুন মরণব্যাধি ক্যান্সার: চিকিৎসা

মরণব্যাধি ক্যান্সার: অংকোজিন এবং টিউমার-সাপ্রেশন-জিন

শুধু একটি জিনের মিউটেশনে ক্যান্সার হয় না, ক্যান্সারের কারণ একাধিক জিনের পুঞ্জীভূত মিউটেশন। আমরা আগেই দেখেছি, কার্সিনোজেনেসিস বা ক্যান্সার-তত্ত্ব অনুসারে ক্যান্সারের জন্য দায়ী জিনগুলোকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: অংকোজিন এবং টিউমার-সাপ্রেশন-জিন। এবার এদের বিস্তারিত দেখা যাক; অংকোজিন: অংকোজিন কোষ বিভাজনের জন্য দায়ী। এই অংকোজিনগুলোর একটি বড় উৎস ভাইরাস। ভাইরাস হলো প্রোটিনের আবরণে লুকিয়ে থাকা সামান্য… বিস্তারিত পড়ুন মরণব্যাধি ক্যান্সার: অংকোজিন এবং টিউমার-সাপ্রেশন-জিন

মরণব্যাধি ক্যান্সার: প্রাচীনতম ব্যাধি

এইডসকে একসময় মনে করা হতো মৃত্যুদণ্ড। HIV পজিটিভ হবার খবর ছিলো যেনো মৃত্যু পরোয়ানা। আজ ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় ২৫ বছর বয়সী কেউ যদি এইডসে আক্রান্ত হয় এবং সঠিক চিকিৎসা নিতে থাকে, তবে তার গড় আয়ুর প্রত্যাশা হবে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মতোই। আমরা কার্যত এইডসকে পরাজিত করেছি। কিন্তু সেই ইউরোপ, আমেরিকা, এবং অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি তিনজনে… বিস্তারিত পড়ুন মরণব্যাধি ক্যান্সার: প্রাচীনতম ব্যাধি

কোয়ান্টাম তথ্য এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং

পদার্থবিদ রল্ফ ল্যান্ডাউয়ের (Rolf Landauer) বলেন “তথ্য একটি ভৌত বিষয়” (Information is physical)। যেমন তথ্য হতে পারে: কাগজে লিখে রাখা শব্দগুচ্ছ, কিংবা কম্পিউটারের প্রসেসরে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ট্রান্সিস্টরের “বন্ধ” বা “খোলা” অবস্থা। এগুলো হলো ক্ল্যাসিক্যাল তথ্যের উদাহরণ। ক্ল্যাসিক্যাল তথ্যের মৌলিক একক হলো “বিট”; এর মান হতে পারে “শূন্য” অথবা “এক”। এই বিটকে বিভিন্ন ক্ল্যাসিক্যাল সিস্টেমের ভৌত অবস্থার… বিস্তারিত পড়ুন কোয়ান্টাম তথ্য এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং

কোয়ান্টাম এনট্যাংলমেন্ট এবং EPR-পেপার

কোয়ান্টাম ফিজিক্সের পাঁচ নম্বর সাধারণ নিয়ম কম্পোসিশন-রুলটি আরেকবার দেখা যাক। কম্পোসিশন-রুল অনুসারে, দুটি কণার সম্মিলিত বা যৌথ কোয়ান্টাম-স্টেট কণা দুটোর আলাদা আলাদা কোয়ান্টাম-স্টেটের সাধারণ গুনফল, কিংবা গুণফলের সুপারপজিশন-স্টেট। দুটি উদাহরণ দেয়া যাক, দুটি কণার আলাদা আলাদা স্টেট যদি ।U> এবং ।V> হয়, তবে তাদের যৌথ স্টেট হবে ।UV>; কিংবা, একটি কণা যদি ।U> সাধারণ স্টেটে এবং অন্য কণাটি যদি a।V> +… বিস্তারিত পড়ুন কোয়ান্টাম এনট্যাংলমেন্ট এবং EPR-পেপার

পরিচয় সঙ্কট: বোসন এবং ফার্মিয়ন

সৌরজগতের গ্রহদের মতোই আণুবীক্ষণিক কণাদের ঘূর্ণন-ভরবেগ (Angular momentum) রয়েছে। কণাদের এই ঘূর্ণন-ভরবেগকে বলে স্পিন (Spin)। গ্রহদের যেমন ঘূর্ণন অক্ষ থাকে, তেমনি কণাদেরও ঘূর্ণন অক্ষ আছে। স্পিন কণাদের একটি সহজাত বৈশিষ্ট্য (Intrinsic property)। চার্জ কিংবা ভরের মতোই প্রতিটি কণা জন্মের সময় এই স্পিন বৈশিষ্ট্যটি পেয়ে থাকে। কণাদের এই স্পিন বৈশিষ্ট্যের প্রমাণ পাওয়া যায় স্টার্ন-গেরল্যাখ যন্ত্রের (Stern-Gerlach apparatus) মাধ্যমে।… বিস্তারিত পড়ুন পরিচয় সঙ্কট: বোসন এবং ফার্মিয়ন

ডাবল-স্লিট এক্সপেরিমেন্ট: তরঙ্গ নাকি কণা?

কণা এবং তরঙ্গ দুটি ভিন্ন জিনিস। কণার আছে, ভর (m) এবং বেগ (v)। এই দুটি বৈশিষ্ট্যের গুণফলকে বলে ভরবেগ বা মোমেন্টাম, p = mv। এই ভরবেগ হলো একটি বল বা ফোর্স (Force) যার দিক আছে, অর্থাৎ, ভরবেগ একটি ভেক্টর (Vector)। এই ভরবেগ যে শক্তির (E) সৃষ্টি করে সেটা হলো, E = 1/2mv^2 । অন্যদিকে, তরঙ্গের আছে তরঙ্গদৈর্ঘ্য… বিস্তারিত পড়ুন ডাবল-স্লিট এক্সপেরিমেন্ট: তরঙ্গ নাকি কণা?

ফটোসিন্থেসিস

যদি শুধুই সমীকরণের দিকে তাকানো হয় তবে, ফটোসিন্থেসিস বা সালোকসংশ্লেষ (Photosynthesis) হলো সেলুলার-রেস্পিরেশনের ঠিক উল্টো প্রক্রিয়া বা পাথওয়ে। তবে, এদেরকে একই রাস্তার বিপরীতমুখী লেন মনে করাটা ভুল হবে। বরং, এরা পুরোপুরি ভিন্ন এবং বিপরীতমুখী রাস্তা। যদি প্রশ্ন করা হয়, প্রকান্ড একটা গাছ তার বিশাল ভর কোত্থকে পায়? তবে ফটোসিন্থেসিসের সমীকরণের দিকে তাকালেই উত্তরটা পাওয়া যাবে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, গাছের… বিস্তারিত পড়ুন ফটোসিন্থেসিস

বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিন: মেটাবোলিজম ২

একটি গ্লুকোস অণু থেকে শক্তি পাওয়াকে শুধু এক লাইনের একটি সমীকরণের মাধ্যমে লিখা যায়। সমীকরণের বাঁয়ের গ্লুকোস হলো কার্বনের রিডিউসড (Reduced) অবস্থা, কারণ, গ্লুকোসে কার্বন তার প্রতিটি ইলেক্ট্রন নিজের কাছে রেখে দেয়। আর, সমীকরণের ডানের কার্বন-ডাই-অক্সাইড কার্বনের সবচেয়ে অক্সিডাইজড (Oxidized) অবস্থা, কারণ কার্বন-ডাই-অক্সাইডে কার্বনের শেষ কক্ষপথের ইলেট্রনগুলো মোটামুটি অক্সিজেনের দখলে চলে যায়। সমীকরণটি একটি রিডক্স বিক্রিয়া,… বিস্তারিত পড়ুন বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিন: মেটাবোলিজম ২

জীবন ও জ্বলানি: মেটাবোলিজম ১

একটি কোষে যতো রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তাদের একসাথে বলে মেটাবোলিজম (Metabolism)। এই বিক্রিয়াগুলোকে দুটিভাগে ভাগ করা যায়। অপচিতি বা ক্যাটাবোলিজম (Catabolism) এবং উপচিতি বা এনাবোলিজম (Anabolism)। এই রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত, অনেকটা বিশাল কোনো মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের মতো। কোষের বিভিন্ন পাথওয়ে (Pathway) বা প্রক্রিয়াগুলো একাধিক রাসায়নিক বিক্রিয়া ব্যবহার করে তাদের কাজ সম্পাদন করে। পাথওয়েগুলোতে এক বিক্রিয়ায় সৃষ্ট উপাদান অন্য বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক (Reactant) হিসেবে… বিস্তারিত পড়ুন জীবন ও জ্বলানি: মেটাবোলিজম ১

দেহের রণকৌশল: ইমিউনিটি-সিস্টেম

আমাদের শরীর একটা দুর্গের মতো। অণুজীবদের জীবনের ঝুঁকি নিতে হয় এই দুর্গে প্রবেশ করতে। প্রতিদিন কোটি কোটি আণুবীক্ষণিক প্রাণ নিঃশেষ হয় এই দুর্গের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, কিংবা রোগ সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদানদের বলে প্যাথোজেন (Pathogen)। এই প্যাথোজেনদের দূরে রাখতে প্রথমেই রয়েছে চামড়া। মেরূদণ্ডী বা ভার্টিব্রেট প্রাণীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক অঙ্গ হলো এই চামড়া। আমাদের ওজনের প্রায়… বিস্তারিত পড়ুন দেহের রণকৌশল: ইমিউনিটি-সিস্টেম

স্মৃতি: নার্ভ-সিস্টেম

বায়োলজিক্যাল তথ্য আদান-প্রদানের দুটি পদ্ধতি রয়েছে। এন্ডোক্রিন-সিস্টেম (Endocrine system), এই পদ্ধতিতে একাধিক গ্রন্থি হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমের দেহের বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এন্ডোক্রিন-সিস্টেমকে তুলোনা করা চলে রেডিও-ব্রডকাস্টের সাথে। বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নির্গত হরমোন রক্তের সার্কেলুটরি-সিস্টেমের (Circulatory system) মাধ্যমের দেহের আনাচে কানাচে পৌঁছে যায়। কিছু কিছু হরমোনের কার্যকারিতা দ্রুত, কয়েক সেকেন্ড লাগে তাদের প্রতিক্রিয়ায়। কিন্তু,… বিস্তারিত পড়ুন স্মৃতি: নার্ভ-সিস্টেম

অ্যাড্রিনালিন-রাশ: প্রোটিন সিগন্যালিং

ধরুন, গভীর রাতে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন। হঠাৎ, আপনার মনে হলো পেছন থেকে কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে। ব্যাপার বুঝতে পারার সাথে সাথে আপনি সতর্ক হয়ে উঠবেন এবং প্রতিক্রিয়ায় আপনার দেহে আসবে কিছু পরিবর্তন। যেমন, আপনার হৃৎপিণ্ডের গতি দ্রুততর হবে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যাবে, পাকস্থলীর রক্তপ্রবাহ কমে যাবে, যকৃত রক্তে গ্লুকোসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে যাতে… বিস্তারিত পড়ুন অ্যাড্রিনালিন-রাশ: প্রোটিন সিগন্যালিং